নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম ঃ করোনা মোকাবেলায় সোনারগাঁয়ে সকল প্রকার মার্কেট দোকানপাট, সপ্তাহিক হাটবাজার বন্ধ করে দিয়ে গুরুত্বপূর্র্ণ বাজারগুলোকে সংকুচিত করেছে প্রশাসন। তবে, জরুরী প্রয়োজনীয় খাবার, ঔধষের দোকান এসবের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে তাদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে আবারও চালু করা হয়েছে আনন্দবাজার হাট। নামে মাত্র হাটের কয়েকটি দোকান বন্ধ করে হাটের নিচে পতিত জাায়গায় বসানো হয়েছে বিশাল হাট। এতে ছিলনা কোন সামাজিক দুরত্ব ও করোনা মোকাবেলার কোন সুরক্ষা সামগ্রী। শনিবার সকাল বেলা প্রশাসনের লোকজন আনন্দবাজার এলাকায় অভিযান চালালে উপরের কয়েকটি দোকান বন্ধ রাখা হয়। প্রশাসনের লোক চলে আসলে তারা পুনরায় পুরোদমের হাটবাজার শুরু করে। এতে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি।
জানা গেছে, গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। এরপর থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় করোনা মোকাবেলায় সরকার গত ২৬ মার্চ দেশের সকল মার্কেট, দোকানপাট অফিস আদালত বন্ধসহ সকল জনসমাগম বন্ধ করে দেয়। এদিকে ঢাকার পর নারায়ণগঞ্জে একের পর এক করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর গত ৭ এপ্রিল সারা নারায়ণগঞ্জে লক ডাউন ঘোষনা করে জেলা প্রশাসক। বর্তমানে সোনারগাঁয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫ জনে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ছাত্র, শ্রমিক ও পুলিশ সদস্য। এর আগে থেকে করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সোনারগাঁ উপজেলা প্রসাসনের পক্ষ থেকে সোনারগাঁয়ের গুরুত্বপুর্ণ এলাকার নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারগুলোও সংকুচিত করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় সপ্তাহিক হাট বাজার। সে জন্য প্রশাসন উপজেলার প্রতিটি অস্থায়ী সপ্তাহিক হাটগুলোতে গিয়ে ইজারাদারদের হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করে। তাদের অনুরোধের পর হাট বাজার বসানোর অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করেন কয়েকটি হাটের ইজারাদারদের। এ জন্য কয়েক সপ্তাহ হাটগুলো বন্ধ রাখার পর আজ শনিবার সকাল থেকে আবারও বসানো হয় আনন্দবাজার হাট। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল বেলা আনন্দবাজার হাট মনিটরিংয়ে গেলে উপরের সব দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রশাসনের লোকজন চলে আসার পর পুরনায় আগের চেয়ে বেশী জনসমাগম করে হাট বসানো হয়। এতে দেখা যায় সামাজিক দুরত্ব না মেনে বাজারে দোকান বসিয়েছেন দোকানদাররা। এতে ক্রেতারাও সামাজিক দুরত্ব না মেনে একে অপরের গায়ে গা ঘেঁষে বাজার সদাই করছেন। ক্রেতা ও বিক্রেতা অনেকের মধ্যে ছিল করোনা মোকাবেলার মাস্ক ও সুরক্ষা সামগ্রী।